কবে ঈমান আনবেন
এখন ঈমান না আনলে কখন আনবেন?
আমাদের বাড়ির একটা মটর দিয়েও পানি উঠছেনা প্রায় ১ মাসের উপরে, টিউবওয়েলের ও একই অবস্থা। কেন উঠছেনা? কারন পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। শুধু আমাদের না, আমাদের এলাকার ৯০% বাড়ির ই এই করুণ পরিস্থিতি। মুরুব্বীদের কাছে সুনলাম, তারাও নাকি কখনো এত লম্বা সময় ধরে পানির এরকম আকাল দেখেনাই। এই পরিস্থিতির শুরুর দিকে মাথার মধ্যে সুরা মুলক এর ৩০ নং আয়াতটা ঘুরপাক খেত...
মহান আল্লাহ সুরা মুলক এর ৩০ নং আয়াতে বলেছেন,
" বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্বের গভীরের চলে যায় , তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা?"
যে জিনিসগুলা সারাজীবন আমরা একদম ফ্রীতে পেয়ে আসছি সেগুলোই আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকারি । যেমন - পানি, অক্সিজেন(একজন মানুষ ৫৫০ লিটারের মত অক্সিজেন নিশ্বাসের সাথে গ্রহন করে), বৃষ্টি, সূর্যের আলো... । আর এগুলার সবটাই একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রন করেন। মনে পরে যায় সুরাতুল আর-রহমান এর ১৩ নং আয়াত যেখানে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
"তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"
ভাবলাম যদি উনি পানির স্তর নামিয়ে নেন, বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান কমিয়ে দেন, বৃষ্টি বর্ষন না করেন, সূর্যের আলো দিয়ে সাহায্য না করেন তাহলে আমরা কোথায় যাব? কার কাছে সাহায্য চাইব? কেউই তো তখন সাহায্য করতে পারবেনা একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া। এতকিছু বুঝার পরও আমরা আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনা। নামাজে দাড়িয়ে সুরা ফাতিহার ৫নং আয়াতটাও পড়িনা,
" আমরা কেবল তোমারই ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি " ।
যে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবকিছু দিলেন তাকেই আমরা ভুলে থাকি, তার কথা অমান্য করি । আল্লাহ তায়ালা তো বলেই দিয়েছেন সুরা মুলক এর ২৩ নং আয়াতে,
"তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো"
হয়তো আমাদেরকে দেয়া আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নিয়ামতের যথাযোগ্য কৃতজ্ঞতা আমরা কখনই প্রকাশ করতে পারবোনা। তাই আমরা যে যতটুকু বুঝি, যতটুকু পারি, যেভাবে পারি মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, তার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করি , ঈমানকে শক্ত করি।
Comments
Post a Comment